ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার ইস্যু সৃষ্টি করছে
একটা সময় ছিল, আদরের ছেলেটিকে কিংবা মেয়েটিকে স্কুলে পড়তে পাঠিয়ে মাস্টার মশাইকে অনুরোধ করে বলা হতো, ' মাস্টার সাব, এই লন আপ্নের হাতে তুইলা দিলাম। এর হাড্ডিগুলান ফিরত দিয়েন খালি, এরে মানুষ বানানোর দায়িত্ব আপ্নের... '
একটা সময় আমার নামাজ-কালাম পড়া ধার্মিক মা'কে ধর্মের বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন করে করে অতিষ্ঠ করে ফেলতাম। বলতাম, তুমি নামাজটা বাংলায় না পড়ে আরবিতে পড়ো ক্যান? জানো না এই ভাষার জন্য সালাম-বরকত জীবন দিছে? তাছাড়া আল্লাহ্র সৃষ্টি সবকিছু হইলে বাংলাও তেনার সৃষ্টি। বাংলায় ইবাদত বন্দেগীতে অসুবিধা কোথায়?
আমার অল্পশিক্ষিত মা সব শুনে উনার মতো করে জবাব দিতেন। কখনো মৃদু ধমক দিতেন। উনাকে ক্ষেপিয়ে দিয়ে মজা নেওয়াটা হতো লক্ষ্য।
ধর্মের আরো নানান বিষয় নিয়ে পাড়ার সিনিয়র ভাই, হুজুর, মাওলানা ইনাদের সাথেও ব্যাপক বাহাস হতো কিন্তু তখন আমাদের সুদূর কল্পনাতেও ছিল না একটা সময় আসবে যখন এসব আলোচনা আখ্যায়িত হবে একটা বিশেষ ধর্মের ' ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ' হিসেবে। এরজন্যে চাপাতি দিয়ে কোপানো হতে পারে এমন ভাবনাও আমাদের কারো মাথায় কখনো আসে নি। না সিনিয়র ভাই, না হুজুর - মাওলানা কাউকে তো অমন উগ্র রুদ্রমূর্তি ধারণ করতে দেখি নি।
এ দেশে আক্ষরিক অর্থে ধর্ম পালন করা লোকের সংখ্যা খুব বেশি নয়। আমাদের মা - খালা - ফুফু - বোনেরা নামাজ - রোজা যেমন করে থাকে তেমনি নামাজের পাটি গুছিয়ে রেখে বাংলা ছবি (সিনেমা), অধুনা ভারতীয় সিরিয়াল দেখতে বসে যায়। আর আমাদের গ্রামীণ আর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপটে জীবন জীবিকার প্রয়োজনে বরাদ্দ সময় বাদ দিয়ে যতোটুকু সময় অবশিষ্ট থাকে ততোটুক সময় পুরুষেরা ইবাদত বন্দেগী, বিনোদন ইত্যাদিতে ব্যয় করে থাকে। এখানে ধর্মটা সংস্কৃতি আশ্রয়ী। এটাই এ অঞ্চলের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের চলে আসা প্রাকটিস।
তাহলে কী এমন ঘটে গেছে বিশেষ করে বিগত পাঁচ বছরে? পত্রিকার পাতা খুললে এখন ' অনুভূতিতে আঘাতে' র খবর। অনুভূতিতে আঘাত বিষয়টা মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। এ ভালো লক্ষ্যণ নয় মোটেই। মানুষকে প্রশ্ন করতে দিতে হবে। ভয়-ভীতি দিয়ে, জোর জবরদস্তি করে কোনো আদর্শ, মতবাদ, দর্শন কাউকে গেলানো যাবে না। কখনো যায় নি।
একটা চক্র সংগঠিতভাবে বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার ইস্যু সৃষ্টি করছে। ধর্ম, প্রেরিত মহাপুরুষ সম্পর্কে মানুষের মনে বিশ্বাস প্রসূত বিশেষ সফট কর্ণার আছে। এটাইকেই টার্গেট করা হচ্ছে দূরাভিসন্ধি নিয়ে। পুরো ব্যাপারটা একটা কুৎসিত রাজনীতি। ধর্মাশ্রয়ী রাজনীতি। এই রাজনীতির আপাতত বলি স্কুল - কলেজ - বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ। বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের শিক্ষকগণ। তবে বলির নতুন নতুন পাঠা যুক্ত হতে বেশি সময় লাগবে না, যদি না এখনি এই চক্রান্ত - ষড়যন্ত্র কঠোর হাতে দমন করা হয়।
একটা সময় আমার নামাজ-কালাম পড়া ধার্মিক মা'কে ধর্মের বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন করে করে অতিষ্ঠ করে ফেলতাম। বলতাম, তুমি নামাজটা বাংলায় না পড়ে আরবিতে পড়ো ক্যান? জানো না এই ভাষার জন্য সালাম-বরকত জীবন দিছে? তাছাড়া আল্লাহ্র সৃষ্টি সবকিছু হইলে বাংলাও তেনার সৃষ্টি। বাংলায় ইবাদত বন্দেগীতে অসুবিধা কোথায়?
আমার অল্পশিক্ষিত মা সব শুনে উনার মতো করে জবাব দিতেন। কখনো মৃদু ধমক দিতেন। উনাকে ক্ষেপিয়ে দিয়ে মজা নেওয়াটা হতো লক্ষ্য।
ধর্মের আরো নানান বিষয় নিয়ে পাড়ার সিনিয়র ভাই, হুজুর, মাওলানা ইনাদের সাথেও ব্যাপক বাহাস হতো কিন্তু তখন আমাদের সুদূর কল্পনাতেও ছিল না একটা সময় আসবে যখন এসব আলোচনা আখ্যায়িত হবে একটা বিশেষ ধর্মের ' ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ' হিসেবে। এরজন্যে চাপাতি দিয়ে কোপানো হতে পারে এমন ভাবনাও আমাদের কারো মাথায় কখনো আসে নি। না সিনিয়র ভাই, না হুজুর - মাওলানা কাউকে তো অমন উগ্র রুদ্রমূর্তি ধারণ করতে দেখি নি।
এ দেশে আক্ষরিক অর্থে ধর্ম পালন করা লোকের সংখ্যা খুব বেশি নয়। আমাদের মা - খালা - ফুফু - বোনেরা নামাজ - রোজা যেমন করে থাকে তেমনি নামাজের পাটি গুছিয়ে রেখে বাংলা ছবি (সিনেমা), অধুনা ভারতীয় সিরিয়াল দেখতে বসে যায়। আর আমাদের গ্রামীণ আর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপটে জীবন জীবিকার প্রয়োজনে বরাদ্দ সময় বাদ দিয়ে যতোটুকু সময় অবশিষ্ট থাকে ততোটুক সময় পুরুষেরা ইবাদত বন্দেগী, বিনোদন ইত্যাদিতে ব্যয় করে থাকে। এখানে ধর্মটা সংস্কৃতি আশ্রয়ী। এটাই এ অঞ্চলের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের চলে আসা প্রাকটিস।
তাহলে কী এমন ঘটে গেছে বিশেষ করে বিগত পাঁচ বছরে? পত্রিকার পাতা খুললে এখন ' অনুভূতিতে আঘাতে' র খবর। অনুভূতিতে আঘাত বিষয়টা মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। এ ভালো লক্ষ্যণ নয় মোটেই। মানুষকে প্রশ্ন করতে দিতে হবে। ভয়-ভীতি দিয়ে, জোর জবরদস্তি করে কোনো আদর্শ, মতবাদ, দর্শন কাউকে গেলানো যাবে না। কখনো যায় নি।
একটা চক্র সংগঠিতভাবে বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার ইস্যু সৃষ্টি করছে। ধর্ম, প্রেরিত মহাপুরুষ সম্পর্কে মানুষের মনে বিশ্বাস প্রসূত বিশেষ সফট কর্ণার আছে। এটাইকেই টার্গেট করা হচ্ছে দূরাভিসন্ধি নিয়ে। পুরো ব্যাপারটা একটা কুৎসিত রাজনীতি। ধর্মাশ্রয়ী রাজনীতি। এই রাজনীতির আপাতত বলি স্কুল - কলেজ - বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ। বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের শিক্ষকগণ। তবে বলির নতুন নতুন পাঠা যুক্ত হতে বেশি সময় লাগবে না, যদি না এখনি এই চক্রান্ত - ষড়যন্ত্র কঠোর হাতে দমন করা হয়।
Comments
Post a Comment