'মাল'' শব্দটা
মাল- শব্দটা ভদ্র সমাজে পণ্য নামে পরিচিত! তারপর ও অপেক্ষাকৃত নিম্ন এবং মধ্যবিত্ত সমাজে রাস্তাঘাটে বখে যাওয়া ছেলেরা কম বয়সী মেয়েদের ' মাল' বলে সমোন্ধন করে।
না এটা কোন প্রচলিত সামাজিক শব্দ না, কিন্তু মুখে মুখে বহু ব্যবহৃত।
তাই, স্বাভাবিক ভাবেই সবাই ঘৃণার চোখে দেখে। কিন্তু বাস্তবে করে তার উলটো।
তাই, স্বাভাবিক ভাবেই সবাই ঘৃণার চোখে দেখে। কিন্তু বাস্তবে করে তার উলটো।
পাত্রি দেখা এর মাঝে অন্যতম! মেয়ের সামাজিক আর্থিক স্বচ্ছলতা ( অর্থাৎ যৌতুক দেয়ার ক্ষমতা) থাকার পর রূপ আর গুণ আর চারিত্রিক সার্টিফিকেট যাচাই করা হয়।
সাথে পড়াশোনা ও দেখা হয়।
সাথে পড়াশোনা ও দেখা হয়।
তারপর রান্নাবান্নার দক্ষতা, চলাফেরার স্টাইল, কথা বলার ধরণ ইত্যাদি। এমনকি চুল কয় হাত লম্বা, পায়ের পাতা বড় কি না? ( পায়ের পাতা বড় হলে ওই মেয়ে রাক্ষুসি হয় নাকি, প্রাচীন কালের বিশ্বাস)
সামনের দুই দাত ফাকা কি না? ( দাঁত ফাকা থাকলে স্বামী বেশিদিন নাকি বাঁচে না!)
ঠোঁট পাতলা, উজ্জ্বল শ্যামলা বা ফর্সা কি না?
( মোটা ঠোটের মেয়েদের গায়ের চামড়া মোটা আর একগুঁয়ে টাইপের হয় চরিত্র নাকি? )
সামনের দুই দাত ফাকা কি না? ( দাঁত ফাকা থাকলে স্বামী বেশিদিন নাকি বাঁচে না!)
ঠোঁট পাতলা, উজ্জ্বল শ্যামলা বা ফর্সা কি না?
( মোটা ঠোটের মেয়েদের গায়ের চামড়া মোটা আর একগুঁয়ে টাইপের হয় চরিত্র নাকি? )
এইসব কিছু পাস করার পর যোগ হয় এলাকাবাসীর প্রশংসাপত্র প্লাস চারিত্রিক সত্যায়িত সনদপত্র-- অর্থাৎ আগে বা সম্প্রতি কারো সাথে প্রেম আছে কি না?
এইসব কিছু ১০০% ঠিক থাকলে ধীরেধীরে সম্পর্ক এগোতে থাকে! বিয়ের পাকা কথা হয়।
এইবার যদি আমি কোন মেয়েকে " মাল " বলি, তবে কি অত্যুক্তি হবে?
কেউ কি পাত্রকে এইভাবে খুঁচিয়ে দেখে? ৮০% ক্ষেত্রে ছেলেদের রোজগার করার ক্ষমতা দেখা হয়।
বাকিটা দেখা হয় ল্যাং রা, লুলা, পাগল, বা বোবাকালা কি না!!!!
বাকিটা দেখা হয় ল্যাং রা, লুলা, পাগল, বা বোবাকালা কি না!!!!
তাই, অনেক পাত্রিপক্ষ বর পক্ষকে সন্তুষ্ট করতে ছলনার আশ্রয় নেয়।
আমার দেখা একটা ঘটনা বলি:-
অপেক্ষাকৃত নিম্নমধ্যবিত্ত ঘরের একটি মেয়ের বিয়ে হচ্ছে না বহুদিন হলো! মেয়েটি দেখতে একটু কালো এবং ওদের খুব বেশি যৌতুক দেয়ার ক্ষমতা নেই।
আমার দেখা একটা ঘটনা বলি:-
অপেক্ষাকৃত নিম্নমধ্যবিত্ত ঘরের একটি মেয়ের বিয়ে হচ্ছে না বহুদিন হলো! মেয়েটি দেখতে একটু কালো এবং ওদের খুব বেশি যৌতুক দেয়ার ক্ষমতা নেই।
তাই যে সমন্ধগুলো আসে, তাদের অধিকাংশ ই বিবাহিত, অর্থাৎ আগের বউ তালাক অথবা মরে গেছে! আর বয়স ও বেশী।
শেষমেশ কোন উপায়ন্তর না দেখে তারা ঘটক লোভ দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা দিবে বলে ভাল পাত্রের সন্ধানে লাগালো।
পাত্রপক্ষ দেখতে আসার দিন পাশের আত্নিয়ের বাড়িতে খানদানী দুতলা ঘরে ডেকে এনে আপ্যায়ন করালো!
মেয়েকে পার্লার থেকে সাজিয়ে পাত্র পক্ষের সামনে হাজির করালো, ব্যাস--- আর যায় কোথায়?
প্রবাসী পাত্রের হাতে সময় নেই-- এই অজুহাতে ৪৮ ঘন্টার নোটিশে বিয়ে হলো!
বিয়ের পর যখন পাত্র শ্বশুর বাড়িতে আসলো, তখন যার পর নাই বিস্মিত হয়ে বউ ছেড়ে দেবার হুমকি দেয়!
পরে অবশ্য অনেক ঘটনা রটনার পর পাত্র বউ রাখতে বাধ্য হয়েছিলো।
শেষমেশ কোন উপায়ন্তর না দেখে তারা ঘটক লোভ দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা দিবে বলে ভাল পাত্রের সন্ধানে লাগালো।
পাত্রপক্ষ দেখতে আসার দিন পাশের আত্নিয়ের বাড়িতে খানদানী দুতলা ঘরে ডেকে এনে আপ্যায়ন করালো!
মেয়েকে পার্লার থেকে সাজিয়ে পাত্র পক্ষের সামনে হাজির করালো, ব্যাস--- আর যায় কোথায়?
প্রবাসী পাত্রের হাতে সময় নেই-- এই অজুহাতে ৪৮ ঘন্টার নোটিশে বিয়ে হলো!
বিয়ের পর যখন পাত্র শ্বশুর বাড়িতে আসলো, তখন যার পর নাই বিস্মিত হয়ে বউ ছেড়ে দেবার হুমকি দেয়!
পরে অবশ্য অনেক ঘটনা রটনার পর পাত্র বউ রাখতে বাধ্য হয়েছিলো।
এটা যেমন ঠিক হয়নি, তেমনি পাত্রি দেখার ব্যাপারে ও আমাদের আরো নমনীয় হওয়া উচিৎ।
একটা ছেলে দশটা প্রেম করলে ও কোন সমস্যা হয় না, একটা মেয়ে কে কেউ প্রেমের প্রস্তাব দিলেও রটে যায়।
না, তাই বলে সব মেয়ে যে ভালো তা কিন্তু নয়।
কিন্তু এরাই বেশি অসহায়।
একটা ছেলে দশটা প্রেম করলে ও কোন সমস্যা হয় না, একটা মেয়ে কে কেউ প্রেমের প্রস্তাব দিলেও রটে যায়।
না, তাই বলে সব মেয়ে যে ভালো তা কিন্তু নয়।
কিন্তু এরাই বেশি অসহায়।
আবার ব্যতিক্রম যে আছে তা না, কিন্তু আমরা সব সময় পরের দোষ ধরতে ওস্তাদ।
নিজেদের দোষ আড়াল করে একটা প্রজাতির দোষ ধরতে সদা ব্যাস্ত।
এমনকি বিয়ের পর ও বাচ্চা না হলে অথবা শুধু মেয়ে বাচ্চা হলে তালাক দিয়ে আরেকটা বিয়ে করার হুমকি।
এই মাতাব্বরি আমাদের সমাজের ছেলেদের যেনো জন্মগত অধিকার!!
নিজেদের দোষ আড়াল করে একটা প্রজাতির দোষ ধরতে সদা ব্যাস্ত।
এমনকি বিয়ের পর ও বাচ্চা না হলে অথবা শুধু মেয়ে বাচ্চা হলে তালাক দিয়ে আরেকটা বিয়ে করার হুমকি।
এই মাতাব্বরি আমাদের সমাজের ছেলেদের যেনো জন্মগত অধিকার!!
Comments
Post a Comment